তিন দফায় অনুষ্ঠিত ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বশীল এই সংগঠনে চুড়ান্ত পর্বে ১৫২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আনিশা ফারুক। ৪৭৯২ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। আনিশা এর আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লেবার পার্টির কো চেয়ার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আনিশার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর ফারুক আহামেদ, মেয়ের এই সাফল্যে খুবই উচ্ছ্বসিত। বলেন, আনিশা শুধু আমার মুখ উজ্জ্বল করেনি, আমার দেশের মুখও উজ্জ্বল করেছি। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছেন বলে উল্লেখ করেন। মেজর ফারুক জানান,আনিশা খুবই প্রচার বিমুখ স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে রেকর্ড পরিমান এ স্টার পেয়েও তাকে কোন পত্রিকা টেলিভিশনে সাক্ষাতকার দেয়ানো যায়নি।
ফারুক মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।মেজর ফারুক আহামেদ ও রেহানা চৌধুরীর এক ছেলে মেয়ের মধ্যে প্রথম সন্তান আনিশা ফারুক আরেক সন্তান জবরান ফারুক এ লেভেলে পড়ছে। বাংলাদেশের ভোলা জেলার চর ফ্যাশন উপজেলায় ফারুক আহামেদের গ্রামের বাড়ি।
উল্লেখ্য অক্সফোর্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নীতি নির্ধারন ও দাবী দাওয়া নিয়েই কাজ করেনা, পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামের উচ্চ শিক্ষায় সরকারের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ও দেনদরবার করে থাকে। আনিশা ফারুক শুধু বাংলাদেশ নয় এশিয়ান বংশোদ্ভূত দ্বিতীয় শিক্ষার্থী যিনি এই গৌরব অর্জন করলেন।এর আগে ১৯৯৩ সালে প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘু হিসাবে আকাশ মহারাজা সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।