ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাবেক আহ্বায়ক কমিটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে তিন মাসের জন্য গঠিত সাবেক আহ্বায়ক কমিটির নেতারা দীর্ঘ চার বছরেও সম্মেলন করতে না পারার ব্যর্থতার দায় চাপান জেলা কমিটির নেতাদের ওপর।
রোববার দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন খন্দকার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর গঠিত আমাদের আহ্বায়ক কমিটির প্রতি নির্দেশনা ছিল ইউনিয়ন কমিটিগুলো করে সম্মেলনের ব্যবস্থা করা। আমরা ইউনিয়নের কমিটিগুলো করে সম্মেলনের জন্য কাউন্সিলরদের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রীয় যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের কাছে জমা দেই। কেন্দ্র থেকে আমাদের জেলা যুবলীগের সাথে সমন্বয় করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের নির্দেশনা দেয়া হয়। জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে গিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার কথা অবহিত করলে তারা সম্মেলনের তারিখ দিতে গড়িমসি করে।
তিনি আরও বলেন, জেলা যুবলীগ ১৬ বছরেও সম্মেলন করতে পারেনি। তাই আমরা চার বছরে কেন সম্মেলন করতে পারলাম না, এমন অভিযোগে আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করা জেলা যুবলীগের স্বেচ্ছাচারী আচরণ। কোনো প্রকার কারণ না দর্শিয়ে আমাদের কমিটি বহাল থাকা অবস্থায় নতুন কমিটি দেয়া সম্পূর্ণভাবে যুবলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
এ সময় তিনি নতুন আহ্বায়ক কমিটি বিএনপি ও জাতীয় পার্টি পরিবারের অনুপ্রবেশকারীদের গঠন করা হয়েছে অভিযোগ করে ৩১ আগস্টের মধ্যে ওই কমিটি বাতিলের দাবি জানান। কমিটি বাতিল না করা হলে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম বকসী, উপজেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি কামাল মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা ও যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস জাগো নিউজকে বলেন, আমরা একটা নির্বাচিত কমিটি আর ওরা হলো আহ্বায়ক কমিটি। এটার মেয়াদ দেয়া থাকে তিন মাস। আমাদেরকে সম্মেলনের মাধ্যমে ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তারা (সাবেক আহ্বায়ক কমিটি) আমাদের সংগঠনের কেউ না এখন। তাদের ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে চাই না। আমরা কেন্দ্রের নির্দেশে নতুন যে আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছি সেটাই বৈধ কমিটি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর তিন মাসের জন্য গঠিত ৩৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি প্রায় পাঁচ বছরেও সম্মেলন করতে না পারার কারণে সম্প্রতি ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে গত ২৪ জুলাই মো. সাইফুর রহমান মনিকে আহ্বায়ক ও আতাউর রহমান কবিরকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩৭ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি করে দেয় জেলা যুবলীগ।