রাজশাহী নগরীতে ছুরিকাঘাতে ভগ্নিপতিকে হত্যায় রনি আহমেদ (২৯) নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার সকালে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত রনি নগরীর কাজলা কেডি ক্লাব পশ্চিমপাড়া মহল্লার হাবিবুর রহমানের ছেলে। একই মামলায় আসামি ছিলেন রনির বাবা হাবিবুর রহমানও (৫০)। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন হাবিবুর। আর দণ্ডিত রনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন থেকে তিনি পলাতক। তবে রায় ঘোষণাকালে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন তার বাবা হাবিবুর রহমান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩ মার্চ ছুরিকাঘাতে খুন হন কাজলা কেডি ক্লাব পশ্চিমপাড়া মহল্লার এরশাদ আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন (২৩)। এ ঘটনায় ওই দিনই তিন জনকে আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেন নিহতের বড় ভাই আসাদ জামান ওরফে বুলবুল। পরে রনি ও তার বাবা হাবিবুরকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
মামলার বাদী জানান, বিপ্লব ভালোবেসে রনির ছোট বোন লিজা খাতুনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এই বিয়ে মেনে নেননি রনি। এ নিয়ে রনি ও বিপ্লবের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ২০১৭ সালের ৩ মার্চ বাড়ির সামনে ইট রাখাকে কেন্দ্র করে বিপ্লব ও রনির মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিপ্লবকে ছুরিকাঘাত করে রনি পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই বিপ্লব মারা যান।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচজন সাক্ষী ছিলেন। সমস্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করলেন।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মিজানুল ইসলাম।