বিএনপির আমলে বিমানের অবস্থা ছিল মুড়ির টিনের মতো। আগে ঢাকায় এক ধরনের ঝরঝরা বাস চলত। আমরা এই বাসগুলোকে বলতাম মুড়ির টিন।
রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রিমলাইনার রাজহংসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
তিনি বলেন, ওই সময় আমি বিরোধী দলে ছিলাম। খুব বেশি করার ক্ষমতা আমার ছিল না। বিদেশ যাওয়ার সময় বিমান ব্যবহার করতাম। তখন দেখতাম বিমানগুলো ছিল ঝরঝরা। ছাদ ফুটো ছিল, পানি পড়ত। টিস্যু গুঁজে দিয়ে পানি পড়া থামানো হতো। এখন সেই অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আর বিমানের আগের অবস্থা নেই। এখন বিমানে উঠলে গর্বে বুক ভরে যায়। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে পাঁচবছর ছিলাম। বিমানের উন্নয়নে তখন বুক বেশি কিছু করতে পারিনি। কারণ টাকা-পয়সার ব্যাপার ছিল। এখন আমাদের যে রিজার্ভ আছে সেখান থেকে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আরও দুটি উন্নতমানের বিমান কিনতে পারব। আমাদের সেই পরিকল্পনা আছে।’
বিমানের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সাড়ে তিনবছর মাত্র সময় পেয়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে গুছিয়ে আনতে শুরু করেছিলেন। আজকে বিমানের যে লোগো সেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জয়নুল আবেদীনসহ শিল্পীদের নিয়ে কমিটি করে দিয়েছিলেন।