মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) উপজেলার অজমির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই মিষ্টি বিতরণ হয়। হাস্যজ্জল মুখে মিষ্টি সামনে নিয়ে ছবি ও মিষ্টি বিতরণের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক।
ফেসবুক থেকে ছবি সংগ্রহ করে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আহমদ রিয়াজ ও সালাহউদ্দিন আইয়ুবী নামে এক ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত আইডিতে ছবিসহ পোস্ট করে সমালোচনা করেন। ছবিটি ভাইরাল হলে ফেসবুকে অনেক সমালোচনার সৃষ্টি হয়; অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে জানতে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) অজমির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুবের আহমদের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি মিষ্টি বিতরণের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আলোচনাসভা শেষে মিষ্টি বিতরণ নয় শিরনি বিতরণ করা হয়েছে।
বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিজ মিঞা শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। শোক দিবসে অনুষ্ঠান শেষে মিষ্টি বিতরণ করাটা ঠিক হয়নি। আনন্দের বিষয় হলে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। মিষ্টি বিতরণ হয়ে থাকলে অপরাধ হয়েছে।’
এদিকে, উপজেলার জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে একটি ব্যানারও জোটেনি। একটি ব্যানারের ব্যবস্থা করেনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ব্ল্যাকবোর্ডে ‘শোক দিবস বড়লেখা জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা’ লিখে একটি আলোচনা সভার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন মাদ্রাসার শিক্ষক খলিলুর রহমান খলিল। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসলাম উদ্দিন ও শিক্ষক জাহানারা বেগম।
এই বিষয়ে বড়লেখা জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসলাম উদ্দিন বলেন শুক্রবার (১৬ আগস্ট), ‘ইচ্ছাকৃতভাবে আমরা এটি করিনি। যার কাছে ব্যানারের দায়িত্ব দিয়েছিলাম তিনি সময়মত ব্যানার দিতে পারেননি। এ জন্য এমনটি হয়েছে।’
বড়লেখা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের অস্তিত্বের বিষয়। অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে আরও যত্নশীল হওয়া উচিত ছিল। কর্তৃপক্ষ জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। ব্ল্যাকবোর্ডে লিখলেও কার জন্য শোক দিবস তাও উল্লেখ করা হয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী এটা অবশ্যই উল্লেখ করা দরকার ছিল।
তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেছি তিনি দু:খ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন অন্য একজনকে ব্যানারের দায়িত্ব দেওয়ায় এটি হয়েছে।