মাঙ্কিপক্স নিয়ে এখনও পর্যন্ত যা জানা গেল


জাপানের জাতীয় সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের ভাষ্য অনুযায়ী মাঙ্কিপক্স ১৯৫৮ সালে বিদেশের একটি গবেষণা কেন্দ্রে কাঁকড়া খাওয়া ম্যাকাক বানরের মধ্যে প্রথম চিহ্নিত করা হয়েছিল। সারা বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা স্তন্যপায়ী প্রাণী সেই স্থাপনায় রাখা ছিল, গবেষকরা যেখানে পোলিওর টিকা আবিষ্কার নিয়ে কাজ করছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, মানুষের মধ্যে সংক্রমণের বেলায় মাঙ্কিপক্সের সুপ্ত অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার সময় হচ্ছে ছয় থেকে তেরো দিনের মত। যেসব উপসর্গ এরপর দেখা যায় তার মধ্যে মুখ এবং সারা দেহে বিশেষ ধরনের ফুসকুড়ি দেখা দেয়া ও সেই সাথে জ্বর, গলা ব্যথা এবং লিম্ফ নোডস বা লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া অন্তর্ভুক্ত আছে। অতীতে আফ্রিকায় এ রোগ ছড়িয়ে পড়া থেকে আভাস পাওয়া যায় যে মৃত্যুর হার হচ্ছে কয়েক শতাংশ থেকে দশ শতাংশ পর্যন্ত।

ইঁদুর, কাঠবিড়াল এবং অন্যান্য সংক্রমিত প্রাণীর কামড় খাওয়া ব্যক্তির দেহে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া সংক্রমিত প্রাণী কিংবা ব্যক্তির ফুসকুড়ি অথবা রক্ত ও দেহের অন্যান্য তরল পদার্থ স্পর্শ করেও কেউ সংক্রমিত হতে পারে। নিশ্বাসের মধ্যে দিয়ে বের হওয়া ক্ষুদ্র কণার মধ্যে দিয়েও ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে এটা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও সেই সাথে রয়েছে।

ডব্লিউএইচও অবশ্য বলছে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমণের সম্ভাবনা হচ্ছে যথেষ্ট সীমিত, যার অর্থ হল ভাইরাস কেবল ঘনিষ্ঠ সংযোগের মধ্যে দিয়েই ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রতি ডব্লিউএইচও সংক্রমণের ঘটনা প্রাথমিক অবস্থায় চিহ্নিত করতে কাজ করা এবং ঘনিষ্ঠ সংযোগ দ্রুত খুঁজে বের করার আহ্বান জানাচ্ছে।

জাপানের এনএইচকে ওয়াল্ড বাংলা এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ মে) ডব্লিউএইচও জানায়, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার ২০টিরও বেশি দেশে মাঙ্কিপক্সে প্রায় ২০০ জনের আক্রান্ত হবার কথা জানা গেছে।

সংস্থাটি আরও জানায় “ভাইরাসটির প্রথম সিকোয়েন্সিং-এরষ্ট্রেনটিতে দেখা যায় যে সব দেশে এর প্রাদূর্ভাব ঘটেছে সেখানে আমরা যে স্ট্রেনগুলি পাব তা থেকে এটি আলাদা নয় বরং (এই প্রাদুর্ভাবটি) সম্ভবত মানুষের আচরণের পরিবর্তনের কারণে আরও বেশি হয়েছে।”

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যে এবং বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের কোন ঘটনা সম্পর্কে খবর পাওয়া যায়নি।

 

,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *