অপহরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত সুমন রায় (৩০) নামক এক যুবককে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার ও অপহরণে জড়িত চারজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বরিশাল থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে ঢাকায় এসে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে সাভার আসার পরই অপহরণের শিকার হন সুমন রায়।
পরে অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি চৌকস দল মেজর কাজী সাইফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন আমিন বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত সুমনকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের আটক করে।
র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর বরিশাল জেলার আগৈলঝরা থানাধীন রাজমিস্ত্রীর কাজের জন্য ঢাকায় আসেন সুমন।
২১ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টার দিকে ঢাকার উত্তরায় তার দূর সম্পর্কের চাচা দিলিপ রায়ের বাসায় যান। সেখান থেকে একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পূর্ব পরিচিত আসামি এনামুল হকের (২৪) কাছে কাজের সন্ধানের জন্য সাভার থানাধীন আমিন বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান।
সেখানে এনামুল হকসহ তার সহযোগী আসামি মো. সায়েম (৩০), মো. রুবেল (৩০) এবং মো. এহেছান উল্লাহসহ (২৫) আরো অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন লোক সুমনকে কাজ দেবার কথা বলে সাভার থানাধীন আমিন বাজার বড়দেশি কেবলারচর রূপালী সৈকত আবাসিক কল্যাণ সমিতি জনৈক আবুল হাসেমের বাউন্ডারি প্লটের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে আটকে রাখে।
ভিকটিমকে মারপিট করে তার মোবাইল ফোন নিয়ে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে নির্যাতনের মাধ্যমে ভিকটিমের ফোন নম্বর থেকে কল করে তার আত্মীয়-স্বজনকে চিৎকারের শব্দ শুনিয়ে দ্রুত তাদের দেয়া একাধিক বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বলে।
অপহৃত সুমন রায়ের আত্মীয়-স্বজন র্যাব-৪ অধিনায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে র্যাব-৪ এর চৌকষ অভিযানিক দল আসামিদের দেওয়া বিকাশ এজেন্ট নম্বরের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা নেওয়ার সময় প্রথমে মো. সায়েম আটক করে।
পরে তার দেওয়া তথ্য মতে আসামি এনামুল হক (২৪), মো. রুবেল (৩০) এবং এহেছান উল্লাহ (২৫) আটকসহ অপহৃত সুমন রায়কে উদ্ধার করে। আটকদের প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।