শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী বা কুখ্যাত ব্যক্তিদের নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিতকরণ ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেসব প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে চলেছে। এটি একটি চলমান কার্যক্রম। তবে যুদ্ধাপরাধীদের নামে করা যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে তা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার রাজধানীর নীলক্ষেতে ব্যানবেইসের সম্মেলনকক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের নামের প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিও পেয়েছে। কোনো রাজাকারের নামে প্রতিষ্ঠিত হলে এর দায় প্রতিষ্ঠানের নয়। যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় ওই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হবে। কিন্তু এমপিও থাকবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকলেও এ-সংক্রান্ত সব তথ্য মন্ত্রণালয়ে নেই। স্থানীয় পর্যায় থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি স্থানীয় প্রশাসন, জনগণ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে আনলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, এবারের এমপিওভুক্তি কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়নি, সেটা নিশ্চিত। কোনো বিতর্কিত রাজনীতিকের নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একইভাবে নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যেতে পারে।
শিক্ষার মানে কী পরিবর্তন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সমস্যা থাকে। শহরে অনেক প্রতিষ্ঠান এমপিও চান না। কিন্তু গ্রামে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা থাকে। বিকল্প কোনো কাজের চিন্তা থাকলে শিক্ষক যথাযথভাবে শিক্ষা দিতে পারেন না।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।