টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রাতের আঁধারে রাস্তার সরকারি গাছ কেটে করে বিক্রি করেছে একটি প্রবাবশালী মহল। উপজেলার তেজপুর থেকে গান্ধিনা পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার এবং গান্ধিনা থেকে দড়িখরশিলা পর্যন্ত ৬শ মিটার রাস্তার দু’পাশের সরকারি গাছ ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রিও হয়েছে। গাছগুলো কিনেছেন মালেক মেম্বার ও ফজলুল হক নামে দুই কাঠ ব্যবসায়ী। নাগবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আয়নাল হক মেম্বারের বিরুদ্ধে এই গাছ কাটা ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় উপজেলা এলজিইডির অধীনে নাগবাড়ী ইউনিয়নের তেজপুর থেকে গান্ধিনা পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার এবং গান্ধিনা থেকে দড়িখরশিলা পর্যন্ত ৬শ মিটার রাস্তা প্রশস্তের কাজ চলছে। এই সুযোগে রাস্তার দুই পাশের গাছগুলো রাতের আঁধারে কেটে বিক্রি করে নিয়ে গেছেন প্রভাবশালীরা। ইতোমধ্যে সেসব গাছ কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রিও করা হয়েছে। বর্তমানে গাছগুলো আব্দুল মালেক মেম্বারের স মিলে সংরক্ষিত আছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আয়নাল হকের নেতৃত্বে এ কাজ হয়েছে। সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিনা টেন্ডারে তিনি গাছগুলো কেটে বিক্রি করলেও কেউ প্রতিবাদের সাহস পায়নি। আয়নালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মালেক মেম্বার গাছগুলো কেনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে কার কাছ থেকে কিনেছেন এমন প্রশ্নে কর্তনকারী ও বিক্রেতাদের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা জানান তিনি।
নাগবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকী বলেন, স্থানীয় যুবলীগ নেতা আয়নাল হক মেম্বারসহ কয়েকজনে ঠিকাদারের সহযোগিতায় গাছ কেটে বিক্রি করেছে বলে শুনেছি।
এদিকে নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ সভাপতি আয়নাল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অপরদিকে কালিহাতী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান গাছ কেটে বিক্রির ঘটনা স্বীকার করে বলেন, তেজপুর থেকে গান্ধিনা ও গান্ধিনা থেকে দড়িখরশিলা পর্যন্ত রাস্তার প্রশস্তের কাজ চলছে। এ সুযোগে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে রাস্তার দু’পাশের গাছগুলো অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করেছে। আমরা গাছ কাটা ও বিক্রির কোনো টেন্ডার করিনি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে গাছ কাটা ও বিক্রিতে জড়িতদের নাম পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।