সিলেটে কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনের ৫৬ জন সাংবাদিক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি দায়ের করেছেন। আজ রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে একযোগে নগরীর কোতোয়ালী থানায় এ জিডি (নং-২২/৯/১৯/১৭২৪) করেন তারা। জিডি দায়েরকারী সাংবাদিকরা ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা), সিলেটের সদস্য।
জিডি দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইমজার সভাপতি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী বলেন, ‘প্রথমে পুলিশ জিডি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে অনেক দেনদরবার করে ঘন্টাখানেক পর তারা জিডি গ্রহণ করে।’
তিনি বলেন, ‘সাদাপোশাকে কাউকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের এক সিনিয়র সাংবাদিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি প্রথমে স্বীকার করেনি পুলিশ। এটি পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার বলে আমরা মনে করি। একজন সাংবাদিককে সাদাপোশাকে গ্রেফতারের পর স্বীকার না করার বিষয়টি আমাদেরকে শঙ্কিত করেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ভবিষ্যতে যে কারো ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে পুলিশ। এজন্য নিরাপত্তা চেয়ে আমরা জিডি করেছি।’
নগরীর কোতোয়ালী থানার ওসি মো. সেলিম মিয়া জানান, সাংবাদিকরা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি দায়ের করেছেন। তাদের জিডি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান মইনুল হক বুলবুলকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরীর মীরবক্সটুলা থেকে সাদাপোশাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিলেটের কানাইঘাট থানায় একটি প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
ইমজা নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, পুলিশ বুলবুলকে সাদাপোশাকে গ্রেফতার করার পর স্বীকার করতে চায়নি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি ইমজা সভাপতির সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বিকালে সিলেট জেলা পুলিশের সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দেয় ইমজা।