১০ লাখ মানুষকে অতিদারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করতে নতুন প্রকল্প

banglashangbad

অতিদরিদ্রদের জন্য ‘পাথওয়েস টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল’ (পিপিইপিপি) নামের নতুন এক চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। আজ মঙ্গলবার পিকেএসএফ ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পটির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ৬ বছর (২০১৯-২০২৫) মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডিএফআইডি বাংলাদেশের প্রধান জুডিথ হার্বার্টসন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব কোঅপারেশন মার্শিও চ্যান।

অনুষ্ঠানে আসাদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র্য ৮ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। তবে রোহিঙ্গা সমস্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এক বড় চাপ সৃষ্টি করছে। এরপরও পিপিইপিপি প্রকল্প টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট-১ অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশে ডিএফআইডির প্রধান জুডিথ হার্বার্টসন বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবসময় উন্নয়নের আসল চিত্র তুলে ধরে না। বাংলাদেশে এখনও অসমতা, অপুষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো প্রকট সমস্যা বিদ্যমান। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব কোঅপারেশন মার্শিও চ্যান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৈষম্য একটি বড় বাধা বলে উল্লেখ করেন।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের কমপক্ষে ছয় কোটি দরিদ্র মানুষকে পিকেএসএফ সহায়তা প্রদান করছে।

পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কিউ এম গোলাম মাওলা প্রকল্প সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে পিপিইপিপি প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের (www.pksf.ppepp.org) উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রকল্প ১০ লাখ মানুষের টেকসই উন্নয়নে ২০টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ১৩টি জেলার প্রায় ১৫০টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে; যার বাজেট প্রায় ৬৭৩ কোটি টাকা।