১৬ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কর্মকর্তারা আমেরিকা ও কানাডার ব্যস্ততম সীমান্ত পারাপার আরো একমাসের জন্য বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সীমান্ত পারাপার বন্ধ আরো এক মাসের জন্য বর্ধিত করা হয়েছে বলে উভয় দেশের কর্মকর্তার জানিয়েছেন।
আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। ১৬ জুন এক সংবাদ সন্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডো এ ঘোষণা দেন। তবে অপরিহার্য্য বা জরুরি পারাপার ব্যতিত অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। যেমন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, বাণিজ্য, কাজের জন্য আসা যাওয়া কর্মী এর আওতার বাইরে থাকবে।
গত ২১শে মার্চ থেকে সীমান্ত পারাপার নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল।দুই দেশের নাগরিকদের নিরাপদে রাখতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডো একমত হয়ে দুই দেশের সীমান্ত ভ্রমণ বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় সীমান্তের অন্য পারে থাকা পরিবার পরিজনের সমস্যা হবে এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিশেষ করে মিশিগানের পর্যটন শিল্পের উপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
কানাডা থেকে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ মিশিগান আসেন শপিং করতে, আকর্ষণীয় স্থানগুলো বেড়াতে, গলফ খেলতে, ক্যাসিনোতে বিনোদনের জন্য।
এদিকে আগামী ১৯ জুন জেনারেল মোটরস কোম্পানী সারা পৃথিবীব্যাপী তাদের সবকটি প্ল্যান্টে ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড নীরবতা পালন করবে। সময়সীমাটি হচ্ছে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিসের একজন পুলিশ অফিসার কর্তৃক একজন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে তার হাটু চাপা দিয়ে ধরায় তার মৃত্যু হয়েছিল।জেনারেল মোটর কোম্পানীর প্রেসিডেন্ট মার্ক রিউস ১৬ জুন তার কর্মীদের এক অভ্যন্তরীণ মেমো প্রেরণ করে আগামী ১৯ জুন নীরবতা পালন করতে বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, এ নীরবতা পালন কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রাদায়ের সাথে সংহতি প্রকাশ ও ধারাবাহিক বর্ণবাদ ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আমাদের সমর্থন।