এতটা ভয়ঙ্কর করোনা, কয়েক সপ্তাহে পুরো পরিবারটাই শেষ!


বিশ্বব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।  এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে ইতোমধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশ ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও ব্রিটেন।  আরও অনেক দেশেই তাণ্ডব চালাচ্ছে এই ভাইরাস।  জানা গেছে, বিশ্বের কমপক্ষে ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছে এই ভাইরাস।

এই ভাইরাসের থাবায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে আমেরিকার।  ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১১ লাখ ৩১ হাজার ৪৯২ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ হাজার ৭৭৬ জনের।  আর সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৩ জন।  এছাড়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে আরও ১৬ হাজার ৪৮১ জন। এদিকে, করোনার থাবায় নিঃশ্বেস হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির একটি পরিবার।  মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিবারের সবাই মারা যায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।

জানা গেছে, ওই পরিবারের এক তরুণ সদস্য প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হন, এরপর আক্রান্ত হন তার বাবা-মাও। একে একে সবাই মারা যান কোভিড-১৯ রোগে।

নিউইয়র্ক পোস্ট জানায়, মারিও মেয়রগা জুনিয়র মিয়ামির সিনাই সেবামূলক সংস্থায় কাজ করতেন, যারা হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের দায়িত্বে ছিল। মার্চের মাঝামাঝি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এক সপ্তাহের পর তার বাবা-মাও আক্রান্ত হলেন কোভিড-১৯ রোগে।

মারিও জুনিয়রের বাবা ৭২ বছর বয়সী মারিও মেয়রগা মারা যান ১০ এপ্রিল। আর এর নয়দিন পর মারা যায় ৭২ বছর বয়সী মা এসপেরাঞ্জা মেয়রগা। গত রবিবার মারা যান মারিও জুনিয়র নিজেই।

সম্প্রতি বাবা-মায়ের ৫০তম বিয়ে বার্ষিকীও পালন করেন মারিও জুনিয়র। তার ৪৫ বছর বয়সী বোনও করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।

৮০ এর দশকে নিকারাগুয়া থেকে পরিবারটি যুক্তরাষ্ট্রে। মারিও সিনিয়র একটি শেষকৃত্য সেবার সঙ্গে কাজ করেছিলেন দীর্ঘদিন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *