প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিংয়ে হার দিয়ে শুরু হল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান। রবিবার ওমানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হেরে গেলেন মাহমুদউল্লাহরা।
ক্রিজে অনেক সময় কাটালেন বাংলাদেশের তিন ব্যাটিং ভরসা সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। রানও পেলেন কিন্তু প্রত্যাশা মেটানোর ধারেকাছে ছিল না তাদের ব্যাটিং।
আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসানদের যে তাড়না ছিল সেটি ছিল অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ব্যাটে। তাতে বিব্রতকর হার দিয়ে শুরু হলো বিশ্বকাপ অভিযান।
তবে, দলের এই হারের দিনে কাঙ্ক্ষিত এক মাইলফলকের দেখা পেলেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে দলের প্রথম ম্যাচেই এক ওভারে নিলেন দুই উইকেট শিকার করে সাকিব ছাড়িয়ে যান লাসিথ মালিঙ্গাকে। টি-টোয়েন্টির সফলতম বোলার এখন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
১০৬ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা সাকিব এই ম্যাচেও প্রথম দুই ওভার ছিলেন উইকেটশূন্য। নিজের তৃতীয় ওভারে রিচি বেরিংটনকে ফিরিয়ে স্পর্শ করেন মালিঙ্গার ১০৭ উইকেট। সীমানায় দারুণ ক্যাচ নেন আফিফ হোসেন।
এক বল পরই তিনি ছাড়িয়ে যান মালিঙ্গাকে। এবার সীমানায় লিটন দাসের হাতে সহজ ক্যাচ দেন মাইকেল লিস্ক।
৮৪ ম্যাচ খেলে ১০৭ উইকেট নিয়ে শেষ হয়েছে মালিঙ্গার ক্যারিয়ার। সাকিব তাকে ছাড়িয়ে গেলেন ৮৯ ম্যাচে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের সেঞ্চুরি আছে কেবল এই দুজনেরই। ৯৯ উইকেট নিয়ে শত উইকেটের অপেক্ষায় নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি।
দ্বিতীয় উইকেটে আরও একটি মাইলফলকে নাম লেখা হয়ে যায় সাকিবের। গড়েন অনন্য একটি কীর্তিও।
এই দুই উইকেট নিয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সাকিবের উইকেট এখন ৬০০টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট শিকারি ২৩তম বোলার তিনি, তবে বাঁহাতি স্পিনে তিনি মাত্র দ্বিতীয় স্পিনার। ৭০৫ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবার ওপরে ড্যানিয়েল ভেটোরি।
তবে একটি জায়গায় সাকিব অনন্য। ব্যাট হাতে ১২ হাজারের বেশি রানও করেছেন তিনি। ১২ হাজার রান আর ৬০০ উইকেটের যুগলবন্দী নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসের আর কারও!
১২ হাজার তো আসলে অনেক বেশি, ১০ হাজার রানও নেই আর কারও। সাকিবের পরে ৬০০ উইকেটের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি রান এখন ভারতীয় কিংবদন্তি কপিল দেবের। ৬৮৭ উইকেটের সঙ্গে তার রান ৯ হাজার ৩১।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্তত ১০ হাজার রান করেছেন, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবের পর সবচেয়ে বেশি উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিসের, ৫৭৭টি।