যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্য আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণে উঁচ্চ ঝুকিতে রয়েছে বলে “কোভিড অ্যাক্ট নাও” জানিয়েছে। “কোভিড অ্যাক্ট নাও” টেকনোলজিষ্ট, এপিডিমিওলজিষ্ট, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক পলিসি লিডারদের গবেষণাধর্মী একটি সংগঠন।
সংগঠনটি আমেরিকার প্রতিটি রাজ্যের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি স্তর চিহ্নিত করছে। রাজ্যের তথ্যানুসারে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধির ফলে রাজ্যে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মাঝারি ঝুঁকি থেকে উচ্চ ঝুকি স্তরে চলে যাচ্ছে। মিশিগানকে এর আগে “নিয়ন্ত্রিত করোনাভাইরাস রোগ বৃদ্ধি” স্তর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
১১ অক্টোবর পর্যন্ত ডেটা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় বর্তমানে মিশিগানে করোনা সংক্রমণের হার ১ দশমিক ১২।
অর্থাৎ প্রতিটি ব্যক্তি অন্য ১ দশমিক ১২ জনকে সংক্রমিত করছে। “কোভিড অ্যাক্ট নাও” মনে করে সংক্রমণের হার ১ দশমিক ১৪ হচ্ছে ক্রিটিক্যাল। মিশিগানের বর্তমান সংক্রমণের হার ১ দশমিক ১২ হচ্ছে উঁচ্চ ঝুঁকি স্তর। “কোভিড অ্যাক্ট নাও” আজ রোববার রিপোর্ট করেছে, মিশিগানে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ১১ দশমিক ৭ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন যা তাদের গবেষণায় উঁচ্চ ঝুঁকি বলে বিবেচনা করে।
মিশিগানে বিগত কয়েকদিন যাবত করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, গত শনিবার ১০ অক্টোবর ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ১ হাজার ৫২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যা ৭ এপ্রিলের পর একদিনে সর্ব্বোচ্চ সংক্রমণ। করোনায় সংক্রমিত হয়ে মিশিগানে এ পর্যন্ত মারা যান ৬ হাজার ৮৯১ জন এবং আক্রান্ত হন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৬ জন।
গত সাত দিনে গড়ে প্রতিদিন রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন ১ হাজার ২০ জন। রাজ্যে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১ লাখ ৪ হাজার ২৭১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন বলে স্টেট সুত্রে জানা গেছে। গবেষণা সংগঠনটি জানিয়েছে, মিশিগানে বর্তমানে আইসিইউ (ICU) বেডের ১৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীরা ব্যবহার করছেন।
এদিকে মিশিগানের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা ডেট্রয়েট, হ্যামট্রাম্যাক, ওয়ারেন ও স্টার্লিং হাইটস সিটিতে বাংলাদেশী আমেরিকানদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একজন বাঙ্গালি মহিলা হাসপাতালে ভ্যান্টিলেশানে আছেন এবং একাধিক করোনা আক্রান্ত রুগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে। আক্রান্ত অনেকে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।