২০২২ সালে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার মূলমন্ত্র


আমরা যখন অনিশ্চয়তায় ভারাক্রান্ত একটি নতুন বছরে প্রবেশ করি, তখন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

গত বছরে করোনাভাইরাস মহামারী সব বয়সীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে গবেষকেরা তরুণ তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাসোসিয়েশন অফ স্কুল কাউন্সেলরস-এর নির্বাহী পরিচালক লরেটা হুইটসন, সম্প্রতি তিনি একজন তরুণী সম্পর্কে জেনেছেন যে স্কুলে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেওয়ার পর সে স্কুল কাউন্সেলরের সাথে দেখা করে এবং এখন বিশেষ মানসিক চিকিৎসা বিষয়ক থেরাপিতে রয়েছে।

মানসিক সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিন

সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে আপনার মানসিক সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।  এর কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং ধ্যান করা সহ অনেকগুলি মূলমন্ত্র রয়েছে।

আপনি যতটা পারেন মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন

আপনি এক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ মানসিক স্বাস্থ্যের থেরাপিস্টের কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। যদিও এটি অনেকের জন্য কিছুটা ব্যয়বহুল  এবং সময়সাপেক্ষ তথাপি যদি আপনি পারেন, তাহলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে পারবেন । তাছাড়া, আপনি হাতের কাছে সহজলভ্য টিক টক থেরাপি ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রমা মোকাবেলা করে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিতে পারবেন।

মানসিক চাপের মুখোমুখি হলে কীভাবে আপনার শরীরকে দ্রুত শিথিল করবেন তা শিখুন

মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থা অ্যানাভল্টের মনোবিজ্ঞানী এবং প্রতিষ্ঠাতা মার্লেন ভ্যাল্টার বলেন,  বেশিরভাগ মানুষ মানসিক চাপের কিছু ঘটলে বিরতি নিতে বা দূরে সরে যেতে সক্ষম হয় না। ফলে তারা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। আপনার মাথার উপর থেকে আপনার পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত মানসিক চাপের জন্য আপনার শরীরকে সম্পূর্ণরূপে অনুধাবন করতে পাঁচ থেকে ১০ সেকেন্ড সময় নেওয়ার অভ্যাস করুন। সেই সাথে আপনার সমস্ত পেশী শিথিল করুন। আপনি সারাদিনে প্রায় ৫০ বার এটি অনুশীলন করতে পারেন। এর ফলে আপনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন।

নিয়মিত কাজের পাশাপাশি ভিন্ন কিছু করুন

আপনার মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত যে সকল কাজ করছেন সেই সকল কাজকে কিছুটা সময় বন্ধ রেখে ভিন্ন কিছু করুন। এই যেমন গান শোনা, মুভি দেখা বা ইউটিউবে হাসি ও বিনোদনমূলক ভিডিও দেখা। দেখবেন আপনি মানসিকভাবে সুস্থতা বোধ করছেন। মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকতে মাঝেমধ্যে ভ্রমণের জন্যও বের হতে পারেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *