মিশিগানে করোনাভাইরাসের কারণে দুর্যোগভরা এক পরিবেশে ভিন্ন রকম ঈদের বাজার


যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে এবার ভিন্ন পরিবেশে ভিন্নভাবে মানুষ ঈদের কেনাকাটা করছে। করোনাভাইরাসের কারণে দুর্যোগপূর্ণ এক পরিবেশ। রাজ্যে ‘স্টে হোম’ আদেশটি আগামী ২৮ মে পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে। যার জন্য বাংলাদেশী ও ভারতীয় মালিকানাধীন কাপড়ের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।

দোকান বন্ধ থাকায় মানুষজন কাপড় চোপড় কেনাকাটা করতে পারছেন না। তবে বেশীরভাগ মানুষই এবার ঈদে কাপড় চোপড় কিনছেন না। কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমাদের হয়ত এ দুর্যোগে নতুন কাপড় চোপড়ের দরকার নেই কিন্তু শিশু কিশোরদের যদি ঈদের সময় নতুন জামা কাপড় না পরে কেমন লাগে।

তাই কেউ কেউ অন লাইনে বিশেষ করে আমাজনসহ বিভিন্ন অন লাইন শপিং সাইটে গিয়ে বাচ্চাদের কাপড় চোপড় কিনেছেন । সাইট থেকে নিজের পছন্দ মতো রং, ডিজাইন ও সাইজ দেখে নিজের জিনিসটি কিনছেন। কারো কারো অর্ডার ইতিমধ্যেই বাড়ীতে এসে পৌঁছেছে। যাদের এসেছে তারা খুশী আর যাদের এখনো এসে পৌঁছায়নি তারা প্রতিক্ষায় আছেন কখন আসবে। এখানের বেশকিছু বড় বড় চেইন ষ্টোর বিশেষ করে কষ্টকো, সেমস ক্লাব, মায়ার্স, ওয়াল মার্ট খোলা রয়েছে যেগুলোতে গ্রোসারির সাথে কাপড় চোপড় পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলোতে ঈদের কাপড় বিশেষ করে পায়জামা, পাঞ্জাবী, লেহেঙ্গা, সেলোয়ার কামিজ পাওয়া যায় না।

তবে মানুষজন গ্রোসারী দোকানগুলো থেকে সেমাই, মাংস, বিভিন্ন ধরণের মশলা কিনছেন ঈদের দিনটিকে উপভোগ্ করার জন্য। এবারের ঈদ উৎসব বাড়ীতেই উদযাপন করতে হবে। খাওয়া দাওয়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই সীমিত রাখতে হবে। কাউকে হয়তো দাওয়াত করা যাবে না আর দাওয়াত করলে্ও কেউ আসতে পারবেন না রাজ্যের ‘স্টে হোম’ আদেশের জন্য। তবে এবারের ঈদের একটি সুন্দর ও লক্ষণীয় দিক হচ্ছে অন্য যেকোন বছরের তুলনায় মানুষ দেশে আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবের জন্য প্রচুর পরিমানে টাকা পাঠাচ্ছেন বলে জানা গেছে। অনেক ব্যক্তি, প্রতিষ্টান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ঈদ উপলক্ষ্যে দেশের গরীব, অসহায় মানুষের জন্য অর্থসহ বিভিন্ন ধরণের সাহায্য পাঠাচ্ছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *