ভিডিওতে দেখুন রাশিয়ার তৈরি প্রথম করোনা টিকার উৎপাদন প্রক্রিয়া


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ দিনের শুরুতে ঘোষণা করেছিলেন যে, দেশটির গামালিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিবন্ধন করেছে এবং অতি দ্রুত উৎপাদন শুরু হবে।

সকালে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিতেই বিকালে শুরু হয়েছে উৎপাদন কাজ। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের উৎপাদন এরই মধ্যে রাশিয়ান সংস্থা এএফকে সিস্টেমার বিনোফার্ম ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানায় শুরু হয়েছে। কারখানাটিতে প্রতি বছর ১৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্পুটনিক ভি নামক ভ্যাকসিনটির মোট আউটপুট প্রথম ১২ মাসে ৫০০ মিলিয়ন ডোজ পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিনোফার্ম কারখানা কর্তৃপক্ষ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়াটি দেখানো হয়েছে। এটি করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়তে থাকা বিশ্ববাসীকে আশার আলো দেখাবে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমার মেয়ে প্রথম এটি শরীরে গ্রহণ করেছে। এখন তারা গণহারে টিকার উৎপাদন শুরু করা হবে।

পুতিন জানিয়েছেন, তার মেয়ে ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করার পর সামান্য জ্বরাক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে দ্রুতই তার তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন সে যতেষ্ট ভালো অনুভব করছে।

১২ জুলাই রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছে তারা। ২২ জুলাই (বুধবার) রুশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত।

এ মাসের শুরুতে (১ আগস্ট শনিবার) রাষ্ট্রীয় রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানায়, অক্টোবর মাস থেকে জনগণকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। তবে সবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে রাশিয়াকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *