প্রবাসী নিয়াজ খানের মানবিকতার গল্প


প্রবাসে ব্যস্ত জীবন অতিবাহিত করলেও দীর্ঘদিন ধরে নিজের এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে অসহায় গরীব মানুষের সহায় হয়ে উঠেছেন প্রবাসী নিয়াজ এ খান। মেধাবী এই তরুণ তার মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে পূথিবীটাকে তার কর্মক্ষেত্র করে নিয়েছেন।বিশ্বখ্যাত তহবিল ব্যবস্থাপনা কোম্পানী ওয়েস্টোন গ্লোবালের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিইও হিসেবে হংকং এ কর্মরত আছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ।

নিয়াজ এ খান কর্ম জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝে ভুলে যাননি তার জন্মভূমির কথা। মানুষের বিপদআপদে সহযোগীতার হাত প্রসারিত করে অনন্য দৃস্টান্ত স্থাপন করেছেন মানবতাবাদী এই যুবক। নিয়াজ এ খানের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পাঠান টিলা। প্রয়াত এ জাফত খানের কনিষ্ঠ পুত্র তিনি।

নিয়াজ এ খান দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে এলাকার গরিব, অসহায় মানুষদের আর্থিক অনুদান প্রদান, অর্ধ শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে প্রতিমাসে খাবারের যোগান দেন।

শিক্ষা প্রসারে গত দেড় একযুগ ধরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃত্তি প্রদানসহ ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে আসছেন। এ ছাড়া দরিদ্র পরিবার মেধাবী ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান।

প্রতি বছর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সুবিধা বঞ্চিত ৫ টি ইউনিয়নের শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ। উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিম খানায় আর্থিক অনুদানসহ বিভিন্ন ধরণের সাহায্য প্রদান। যে কোন প্রাকূতিক দূর্যোগকালীন সময়ে নিয়াজ এ খান সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। বিশেষ করে ২০১৭ সালে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যাদুর্গত ৬ শতাধিক পানিবন্দি মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া হয় প্রবাসী মানবিক এই তরুণের পক্ষ থেকে। এছাড়া মহামারী করোনাকালীন সময়ে ২০২১ সালে করোনা রোগীদের

অক্সিজেন সুবিধা নিশ্চিত করতে নিয়াজ এ খান ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে একাধিক অক্সিজেন কনন্সেন্ট্রেটর মেশিন দান করেছেন। নিয়াজ এ খানের মানবিক কর্মকান্ড সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। এলাকার উদ্দমী যুবকরা এই মানবিক কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন।

নিয়াজ এ খানের প্রচেষ্টায় এবার উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১০টি পাকাঘর নির্মানের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি পাকাঘর নির্মানের অর্থায়ন করছে আর্ন্তজাতিক একটি চ্যারিটি সংস্থা।

এ ব্যাপারে নিয়াজ এ খান বলেন, দারিদ্র বিমোচনে ও শিক্ষার প্রসারের জন্য সরকারি এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগের পাশাপাশি প্রবাসী বিত্তবান এগিয়ে আসতে হবে। আমি সকলের সহযোগিতা ও অনুপ্রেণায় বিগত কয়েক বৎসর ধরে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আগামিতে আমি বাংলাদেশ এর প্রত্যন্ত অঞ্চল এ আমার এই উদ্যোগ গুলোকে প্রসারিত করার আশা রাখছি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *