পঞ্চগড়ে একই পরিবারের ১১ জনকে অচেতন করে নগদ টাকাসহ ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে জেলা সদরের আহমদ নগর তেলিপাড়া এলাকায় দুঃসাহসিক এ চুরির ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকালে ঘুমে অচেতন ১১ জনকে পঞ্চগড় আধনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর জেলা পুলিশের কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আহমদ নগর তেলিপাড়া এলাকায় মোছলেম উদ্দিনের বাড়িতে শুক্রবার রাতে তার বাবা আলিম উদ্দিনের কুলখানি ও দোয়ার অনুষ্ঠান ছিল। এজন্য বাড়িতে মৃত আলিম উদ্দিনের মেয়ে জামাইয়ের পরিবারসহ অতিরিক্ত সদস্যরা ছিলেন। দোয়া অনুষ্ঠান শেষে রাতে খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন।
শনিবার সকাল ৮টায় মোছলেম উদ্দিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছেন। একপর্যায়ে তিনি দেখেন বাড়ির সব ঘরের দরজা ভাঙা এবং নগদ প্রায় এক লাখ টাকাসহ অতিথিদের মিলিয়ে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে।
এ সময় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মা রেজিয়া বেগম (৫৫), বোন মুন্নি (৩৫), স্বপ্না বেগম (৩২), রত্না বেগম (৩১), ভাগিনা মৃতুল (২১), সায়েম (১৩), খালা রাশিদা (৬০), ভাগনি সামিরা (৫) অনন্যা (৩) এবং ভাতিজা মাহিনকে (৫) সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন মোছলেম উদ্দিন।
মোছলেম উদ্দিনের ছোট ভাই কুয়েত প্রবাসী সালা উদ্দিন বলেন, বাবার কুলখানিতে আমরা বাড়িতে আসি। দোয়া অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার রাতের খেয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে উঠে দেখি বাড়ির সবাই অঘোরে ঘুমাচ্ছেন। ঘরের দরজা জানালা ভাঙার পরও আমরা টের পাইনি। কিভাবে কি হলো বুঝতে পারছি না। আমাদের নগদ এক লাখ টাকাসহ প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সিরাজ উদ দৌলা পলিন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, তাদের ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছে। এর মধ্যে দু’একজন সুস্থ হয়েছেন। যারা জেগেছেন, তাদের মধ্যেও ঘুমের ভাব রয়েছে। সবার স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে। বর্তমানে সবাই আশঙ্কামুক্ত।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খাওয়ানো হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।